ঘটঘট খটখট শব্দ শুনলেই বোঝা যায় এটা তাঁত পল্লী। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত তাঁত শিল্প সমৃদ্ধ এলাকা সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ,এনায়েতপুর, বেলকুচি, উল্লাপাড়া ও শাহাজাদপুুর উপজেলায় প্রায় দুই লাখ তাঁতী পরিবার রয়েছে। তবে দফায় দফায় রং ও সুতা সহ প্রয়োজনীয় কাচাঁমালের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় যে হারে বাড়ছে উৎপাদন খরচ সে হারে বাড়ছে না পন্যের দাম তাই লোকসান খেয়ে দিনদিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জের ঐতিয্যবাহী তাঁত শিল্প, সেই সাথে বেকার হয়ে পড়ছে শত শত শ্রমিক। কেউবা আবার ঘুরে দাড়ানো আশায় লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন কিন্ত লোকসানের মুখে তাঁত বন্ধ করে দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে অনত্র গিয়ে ভিন্ন পেশায় জীবিকা নির্বাহ করছেন। এছাড়া শ্রমিকের মুজরী বৃদ্ধির পরিবর্তে কমে যাওয়ায় শ্রমিক সংকটের কারনেও বন্ধ হয়ে গেছে অনেক তাতকল। নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত তাত শিল্প মালিকদের দাবী ভারতীয় শাড়ির আগ্রাসন এবং রং ও সুতার বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তাতের পন্য বানিজ্যিকভাবে রপ্তানি না হওয়ার কারনে তাতের এমন দুর্দিন চলছে আর এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে দেশের ঐতিয্যবাহী তাতশিল্প। তবে এসকল বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি স্থানীয় তাতবোর্ডের লিয়াজো কর্মকর্তা তবে তাতশিল্প মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা বলছেন ভিন্ন কথা, সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্প সুদে লোন দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্থ তাতীদের তাই চলছে জরিপের কাজ জরিপ শেষেই মিলবে এই সুবিধা এতে উপকৃত হবে তারা এমনটাই দাবী করেছেন সমিতির নেতারা ।
#সত্যঘটনা #REALSTORY
---------------------------------------------------------------------------------------------------
Comments
Post a Comment
Note