অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে মেলামেশা করায় কলেজ ছাত্রী গর্ভবতী

সিরাজগঞ্জের নিভৃত এক পল্লীর নাম চাকষা এই গ্রামের প্রভাবশালী এক ব্যাক্তি ও তার বংশের লোকেরা এই গ্রামের মানুষদের প্রজা মনে করে তাদের উপর চালানো হয় আদিম যুগীয় বর্বরতা এমনই এক বর্বরতার শিকার ভ্যান চালক শাহ আলম মন্ডল এর মেয়ে শিউলী খাতুন । গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে শারিরিক মেলামেশা করা হয় এসময় ওই লম্পট আলিমের মোবাইলে ধারন করা হয় একটি ভিডিও ফুটেজ। পরবর্তিতে ওই ভিডিও বাজারে ছরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরো কয়েকবার শারিরিক মেলামেশা করা হয় শিউলীকে । লোক লজ্জার ভয়ে মুখ বুজে সব মেনে নেয় শিউলী কিন্ত এক পর্যায়ে যখন সে অন্তসত্তা হয়ে পড়ে তখন ঘটনাটি নজরে আসে সবার এবং এলাকায় এনিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় অতপর শিউলীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসে ঘটনার অন্তরালে লুকিয়ে রাখা প্রকৃত ঘটনা। এঘটনার প্রধান খলনায়ক আলীম ঘটনারদিন রাতে কিভাবে তাকে বিবস্ত্র করে শারিরিক মেলামেশা করে সে কথা পরিবারের কাছে বর্ননা করেন শিউলী। এরপর মেয়ের সর্বনাশের বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে বিচার চাইতে আলীমের গোষ্ঠীর অভিভাবক ও গ্রামের মাথা সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকক্কর সিদ্দিকের কাছে যান শিউলীর বাবা শাহ আলম কিন্ত বিচারের নামে মিথ্যে সান্তনা দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাকে এভাবে একদিন দ্ইুদিন করে মাস গড়িয়ে যায় কিন্ত বিচার তো দুরের কথা বরং লাশ পর্যন্ত গুম করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় শিউলীর পিতা শাহ আলমকে । এক পর্যায়ে উপায়ন্তর না পেয়ে শাহ আলম বাদী হয়ে ঘটনার মূল হোতা আলীমকে আসামী করে উল্লাপাড়া থানায় একটি মামলা করে কিন্তু এই মামলা করাই যেন সব থেকে বড়ভুল হয়েছে তাই মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত মারধরের হুমকি আর বাড়ি ঘরে তান্ডব চালানো হচ্ছে অবশেষে আসামীদের ভয়ে অন্তসত্তা মেয়ে শিউলীকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পিতা শাহ আলম। এবার এইচএসসি পরিক্ষার্থী হলেও অন্তসত্তা হওয়ার কারনে পরিক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারেনি শিউলী আর সেই আক্ষেপে সে এখন দিশেহারা। সমাজের অভিভাবক আর রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থদের হস্তক্ষেপ কামনা করেই এখন রাত কাটে শিউলীদের।

 

Comments